সি এন এ প্রতিবেদক :জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জাতীয় পার্টি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে।
২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, গত ২৭ বছরে দুটি দল গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষকে অধিকারবঞ্চিত করেছে। এই অবস্থার উত্তরণে জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় আসার বিকল্প নাই। কারণ, জাতীয় পার্টি চায়, মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক।’
আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার করেন জাপা মহাসচিব।
২০ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নিজ দায়িত্বে নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে আসতে হবে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। আশা করি, মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, মহাসমাবেশ থেকে পার্টির চেয়ারম্যান দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা দেবেন। সম্মিলিত জোট ও আগামী নির্বাচনের কৌশল নিয়ে কথা বলবেন। বলবেন দেশ গঠনে তার পরিকল্পনার কথা। দেশের মানুষের জন্য তার স্বপ্নের কথা বলবেন। ২০ অক্টোবরের মহাসমাবেশ দেশের রাজনীতিতে নতুন চমক সৃষ্টি করবে।
জাতীয় পার্টিতে বিভেদ নেই, দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। দল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। প্রেসিডিয়াম সভায় পার্টির শীর্ষ নেতা এক হয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচন, প্রার্থীতালিকা চূড়ান্তকরণ এবং জোট গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার একক ক্ষমতা দিয়েছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলু এমপি এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফুর রহমান খান, আলমগীর সিকদার লোটন, নুরুল ইসলাম নুরু, সরদার শাহ জাহান, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফিক, দিদারুল কবির দিদার, আশরাফ সিদ্দিকী, জহিরুল আলম রুবেল, কেন্দ্রীয় নেতা শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, ইসহাক ভুইয়া, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মোবারক হোসেন আজাদ, ফকরুল আহসান শাহজাদা, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, নির্মল দাস, হারুন অর রশিদ, হাজী ফারুক আহমেদ, হেলাল উদ্দিন, এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান, সুলতান মাহমুদ, বেলাল হোসেন, নিগার সুলতানা রানী, আজিজ, এম এ রাজ্জাক খান, হুমায়ুন খান, শারমিন পারভীন লিজা, সৈয়দা পাভিন তারেক, মনোয়ারা তাহের মানু, ডা. সেলিমা খান, মাহমুদা রহমান মুন্নি, গোলাম মোস্তফা, সুমন আশরাফ, এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, অ্যাডভোকেট শাহিদা রহমান রিংকু, রেজাউল করিম, আখতার হোসেন, সামছুল হুদা, এনাম জয়নাল আবেদীন, আলাউদ্দিন মৃধা, আব্দুস সাত্তার গালিব, মাহমুদ আলম, রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, আ জা ম অলিউল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, ফারুক আহমেদ, সুজন দে, সাইফুল্লাহ খালেদ, মাসুদুর রহমান মাসুম, শফিকুল ইসলাম দুলাল, দ্বীন ইসলাম শেখ, জহিরুল ইসলাম জহির, জেসমিন নুর প্রিয়াংকা, মিনি খান, তাসলিমা আকতার রুনা প্রমুখ।